Press "Enter" to skip to content

২১দিন ঘরবন্দী থাকুন–প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়,আপনাদের পরিবারের সদস্য হিসেবে অনুরোধ করছি- মোদি

Spread the love

সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়/গোপাল দেবনাথ: কলকাতা, আমরা এই মুহূর্তে বেশ সংকটজনক মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছি। আগের দিন আপনাদের কাছে এই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়ার জন্য কিছু সপ্তাহ চেয়েছিলাম।

আজ বলছি, আরও তিন সপ্তাহ অর্থাৎ আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত স্বেচ্ছায় ঘরবন্দী থাকুন। এই সিদ্ধান্ত আপনার নিরাপত্তার জন্য। আপনার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য। আজ জাতির উদ্দেশে বৈদ্যুতিন মাধ্যমে এমনই আবেদন জানালেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আবেগঘন কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, করোনা ভাইরাস শরীরে আক্রমণ করলে প্রথম দু তিনদিন কিছু বোঝা যায়না। এ ভাইরাসের আয়ু মোটামুটি ১৪দিন।

সেক্ষেত্রে নাগরিকরা যদি সবাই ঘরবন্দী থেকে সামাজিক ভাবে বিচ্ছিন্ন থাকেন, তাহলে ২১দিনের মধ্যে আমরা বিপদ কাটিয়ে উঠতে পারি। নাহলে ২১বছর পিছিয়ে যাবো। আপনাদের ঘরবন্দী থাকার অনুরোধ করছি হাতজোড় করে। এই অনুরোধ করছি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, অনুরোধ করছি আপনার ঘরের সদস্য হিসেবে। দেশকে বাঁচাতে, নাগরিকদের পরিবারকে বাঁচাতে এছাড়া উপায় নেই। দেশের প্রতিটি গ্রামে, শহরে, অঞ্চলে সর্বত্র জনতা কারফিউ এর চেয়েও কঠিন ব্যবস্থা প্রায় কারফিউ ধরে নিতে পারেন।

আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যসংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা বলছে , ২১দিন নাগরিক বিচ্ছিন্নতা বজায় রেখে ঘরবন্দী থাকলে এই মারণ ভাইরাসকে আমরা পরাস্ত করতে পারবো। বিষয়টির গুরুত্ব অনুভব করে আশা করবো দেশের মানুষ এই ২১দিন ঘর ছেড়ে বেরোনো ভুলে যাবেন। লক ডাউনে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস মিলবে। মনে রাখুন পুলিশ বাহিনীর কথা, মনে রাখুন মিডিয়াকর্মীদের কথা, মনে রাখুন নিকাশি ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত কর্মীদের কথা।

ভুলে যাবেন না হাসপাতালে ডক্টর নার্স, ও স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারীদের কথা। যারা আপনার নিরাপত্তার জন্য জীবন বাজি রেখে সামাজিক দায়কে কর্তব্য হিসেবে মেনে লড়াই করছেন। আপনাদের একটু সহযোগিতাতেই সম্ভব হবে এই লড়াই জেতা। অসুস্থ বোধ করলে নিজে নিজে চিকিৎসা করবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ২৪মার্চ রাত ১২ টা থেকে জরুরি ভিত্তিতে লকডাউন হতে চলেছে। যে যেখানে আছেন, সেখানেই থাকুন। অহেতুক রাস্তায় বেরিয়ে নিজের আর প্রতিবেশীর বিপদ ডেকে আনবেন না। মনে রাখবেন চিনে প্রথম এক লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হন ৬৭দিনে। সেখানে দু লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হন পরবর্তী চার দিনে। এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে আগুনের লেলিহান শিখার মত। মনে রাখুন, আর্থিক ক্ষতি তো হবে। তবে তার চেয়ে বড় ব্যাপার প্রাণ বাঁচানো।

More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *